• Home
  • Bangla
  • কাজের জায়গায় চাপ সামলানোর দশটা উপায়

কাজের জায়গায় চাপ সামলানোর দশটা উপায়

কাজের জায়গায় চাপ সামলানোর দশটা উপায়

যারা যারা কখনো না কখনো, কোনো চাকরি করেছেন, তারা কাজ-সংক্রান্ত চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।  গবেষণা অনুযায়ী, কাজের জন্য চাপের মধ্যে থাকা লোকের শতাংশ শুধুমাত্র বেড়েই চলেছে।  কম মাইনে, অতিরিক্ত কাজের চাপ, সামাজিক সমর্থনের অভাব, ইত্যাদির মত কিছু বিষয় কাজ সংক্রান্ত চাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে।  

দুর্ভাগ্যবসত, কাজের চাপের সঙ্গে স্বাস্থ্যের পরিণতি আসতে পারে।  এবং এই ছোট ছোট স্বাস্থ্যের পরিণতিগুলো বেশি মারাত্বক এবং গুরুতর ব্যাধির দিকে নিয়ে যেতে পারে।  কিন্তু, আজকাল কাজের জায়গায় চাপ থাকাটা এতটাই সাধারণ যে একটা কম-চাপের চাকরি খোঁজা কঠিন, বরং অসম্ভব।  কাজের চাপ কমানোর জন্য সহজেই বেশি কার্যকরী কৌশল অবলম্বন করাটা হবে বেশি বাস্তবিক নির্বাচন।  

এখানে চেষ্টা করার জন্য কিছু চাপ ম্যানেজ করার পদ্ধতি আছে: 

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরী করুন 

আমরা বুঝি, যে আপনি যখন চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করছেন, তখন আপনার বেশি জাঙ্ক/খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাবার প্রবণতা থাকে।  আপনি এটার আকাঙ্ক্ষা করা আটকাতে পারেন না।  এটা চাপ কমাতে সাহায্য করে না, পরিবর্তে এটার আপনার স্বাস্থ্য এবং শরীরের উপরে প্রভাব পড়তে পারে।  

আমরা আপনাকে পরামর্শ দেব যে যখন টেনশানের সৃষ্টি হবে তখন আপনি স্বাস্থ্যকর নির্বাচন করবেন।  এক্সারসাইজ হলো একটা দারুন চাপ কমানোর উপায়।  যোগব্যায়ামও, একটা দারুন নির্বাচন হতে পারে।  যেকোনো শারীরিক কসরত যেটা আপনাকে শান্ত করতে পারে সেটা উপকারী হতে পারে।  যথেষ্ট মানের ঘুমও কর্যকরী ভাবে চাপ ম্যানেজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  

আপনার দিন ভাল ভাবে শুরু করুন 

বাচ্চাদের খাইয়ে তাদের স্কুল ছেড়ে আসার জন্য দৌড়োদৌড়ি করার পর, কি পরবেন সেটা ঠিক করা, ট্রাফিক কাটিয়ে, অনেক লোক আগে থেকেই চাপ নিয়ে আসে। এই ভাবে, তারা চাপের প্রতি বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়। এমনকি, আপনি দেখে অবাক হবেন যে আপনার চাপ পূর্ণ সকাল গেলে আপনার সারাটাদিন কতটা চাপ পূর্ণ হতে পারে। 

পরিবর্তে, আপনি যদি একটা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আপনার দিন শুরু করেন, আপনি একটা পার্থক্য দেখতে পাবেন। সঠিক এক্সারসাইজ করে, সঠিক পুষ্টি নিয়ে এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। এটা করে, আপনার কাজের জায়গার চাপকে পিছনে পাঠিয়ে দেওয়া সহজ মনে হবে। 

সীমানা তৈরী করুন 

ডিজিটাল জগতে, দিনে 24 ঘন্টা পাওয়া যাওয়ার আশা আপনার চাপ অনুভব করা সহজ করে দেয়। নিজের জন্য কিছু কাজের-জীবনের সীমা তৈরী করুন। এটার মানে বাড়িতে থাকার সময়ে ইমেল না চেক করাও এবং ডিনার খাওয়ার সময়ে কোনো কলের উত্তর না দেওয়াও। 

তবুও, কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনকে মেলানোর ক্ষেত্রে লোকেদের কাছে বিভিন্ন পছন্দ আছে। এইগুলোর মধ্যে পরিষ্কার সীমা তৈরী করাটা চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

দ্বন্দ থেকে দূরে থাকুন 

আমরা একমত, যে সহকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে পালানো খুব কঠিন।  এটা আপনার আবেগ গত এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আপনি আগে থেকেই যখন আবেগ গত ভাবে খারাপ থাকেন, তখন আপনি কোন ঝামেলায় জড়াতেচান না? 

কাজের জায়গায়  যতটা সম্ভব দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলাটা একটা ভাল ধারণা। এটার মানে গল্প করবেন না। আপনার ধর্ম এবং রাজনৈতিক দৃষ্টি-ভঙ্গির ব্যাপারে অতিরিক্ত তথ্য দেবেন না। রঙিন অফিসের হাস্যরস এড়িয়ে চলার চেষ্ট করুন। যদি যেকোনো ভাবে দ্বন্দ্ব আপনাকে খুঁজেই নেয়, তাহলে সেগুলোর সঙ্গে ঠিক করে ডীল করুন। 

কিছু সহায়তা নিন 

দীর্ঘক্ষণ ধরে চাপে থাকা ঠিক নয়। আপনার পরিবার বা বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন। উইকেন্ডে আপনার কাজের জায়গার  বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন। নিজের লোকেদের সঙ্গে সময় কাটানো একটা দারুন চাপ কমানোর উপায়। আপনার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করুন এবং তাদের সঙ্গে ভাল মানের সময় কাটান। আপনি সত্যি বিশ্বাস করেন এমন কারুর সঙ্গে আপনার চাপের ব্যাপারে আলোচনা করুন। 

আপনি যদি কাজের চাপ নিয়ে অভিভূত অনুভব করতে থাকেন, তাহলে একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে আপনার চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করার কথা বিবেচনা করুন। থেরাপিস্ট আপনাকে বেশি ভাল চাপ ম্যানেজ করতে এবং অস্বাস্থ্যকর আচরণ বদলাতে সাহায্য করতে পারেন। 

স্বচ্ছন্দ থাকুন 

কাজের জায়গার আরো একটা চাপ দেওয়া জিনিস হলো শারীরিক অস্বস্তি। হ্যাঁ, আপনি যদি শারীরিক ভাবে স্বস্তিতে না থেন, তাহলে আপনার চাপের প্রতি বেশি প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রবণতা থাকে। আপনি এটা প্রথমে লক্ষ্য নাও করতে পারেন, কিন্তু শারীরিক ভাবে স্বস্তিতে থাকাটা চাপ কমানোর দারুন উপায়। 

আপনি কিছু মিনিটের জন্য হয়ত একটা অস্বস্তিকর চেয়ারের অস্বস্তিটা বুঝতে নাও পরতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি কাজের সময়ে ওই চেয়ারে থাকেন, তাহলে আপনার পিঠে ঘা হতে পারে এবং আপনি সহজেই চাপের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি অফিসের আওয়াজের মত ছোট ছোট জিনিসও মনোযোগ কমাতে পারে এবং কম-গ্রেডের হতাশা তৈরী করতে পারে। 

কি ভাবে আরাম করতে হয় শিখুন 

দিনে কিছুক্ষণ খোলা হাওয়া নেওয়ার জন্য ঠিক করুন। শুধুমাত্র কিছুক্ষণ বাইরে থাকাই চাপ কমানোর জন্য দারুণ কাজ করে এবং এর অগুন্তি অন্যান্য লাভ/উপকারিতাও আছে। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ব্রেক নেওয়াটা আপনাকে আবার মনোযোগ দিতে এবং কম চন্তিত থাকতে দেবে। 

গান শোনাটাও, চাপ কমে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনার কাজের দিনে আপনার প্রিয় ধুন শুনুন। অবশ্যই ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন, স্পিকার নয়। 

একসঙ্গে অনেক কাজ করবেন না 

মাল্টিটাস্কিং একসময়ে এক দিনে বেশি কাজ করার জন্য দারুন উপায় ছিল। যেখানে পরে লোকে বুঝলো যে যখন তাদের কানে ফোন থাকে এবং একইসঙ্গে তারা গণনা করেন, তখন তাদের স্পীড এবং সঠিক হওয়া কমে যেত। এছাড়াও, এটা চাপের স্তর বাড়ায়। 

আপনার পরিষ্কার মন থাকলে মাল্টিটাস্কিং কাজ দেয়। যখন আপনি আগে থেকেই চাপে থাকেন, তখন মাল্টিটাস্কিং আপনার চাপের স্তরকে বাড়িয়ে দেয়। আপনি কোনো কিছুর উপরে লক্ষ্য স্থির করতে পারবেন না এবং সব গুলিয়ে ফেলবেন। মাল্টিটাস্কিং-এর বদলে, চাঙ্কিং নাম একটা নতুন কৌশল বেছে নিন।  

পারফেকশনিজমের খেয়াল রাখুন 

কোনো সন্দেহ নেই, যে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকাটা প্রচুর চাপ কমায়। এবং আপনি কি ভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলবেন? অনিবার্যভাবে, আপনার পারফরম্যান্স বজায় রেখে এবং আপনার কাজের খেয়াল রেখে। একজন উচ্চ অর্জনকারী হওয়াটা আপনাকে নিজের ব্যাপারে ভাল অনুভব করতে এবং দারুন কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। 

সবচেয়ে ভালটা করার জন্য প্রচেষ্টা করা এবং নিজেকে সেই প্রচেষ্টার জন্য কনগ্র্যাচুলেট করাটা একটা দারুন কৌশল। এটা করে, আপনার ফলাফল আরো ভাল হবে এবং আপনি কাজের জায়গায় কম চাপ অনুভব করবেন। 

গুছিয়ে থাকুন 

আপনি যদি একজন কম গোছানো লোকও হন, তাহলেও আপনার কাজের জন্য জিনিস গুছিয়ে রাখাটা চাপ কমানোর একটা দারুন কৌশল হতে পারে। গোছানো থাকা মানে ঘেঁটে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে দূরে থাকা এবং কাজে বেশি দক্ষ হওয়া। 

নিজেকে গুছিয়ে রাখা মানে সকালে দেরী এড়াতে কম ছুটোছুটি এবং দিনের শেষে বেরোনোর জন্য কম ছুটোছুটি। 

এজজবস অ্যাপটা একটা বিনামূল্যে-ব্যবহার-করার চাকরির প্ল্যাটফর্ম যেটা নিয়োগকারীদের এবং প্রার্থীদের স্থানীয়, আংশিক-সময়ের এবং সীজনাল চাকরির জন্য যোগাযোগ করায়। আপনি আজকেই এজজবস অ্যাপটা ডাউনলোড করে তক্ষুনি আপনার চারপাশে চাকরি খুঁজে পেতে পারেন। 

Leave A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *